ভয়ংকর গোলযোগ শুরু হয়ে গেছে সারা বিশ্ব জুড়ে। অবশ্য এমনটিই তো হওয়ার কথা ছিল। বহুদিন ধরেই তো বিজ্ঞানীরা এ ব্যাপারে সতর্ক করে আসছিলেন সকলকে। কিন্তু কথায় আছে, চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনি। বিজ্ঞানীদের কথা শুনতে গেলে যে অনেক সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বিসর্জন দিতে হয়। ব্যক্তিগত গাড়ি ছেড়ে বাসে-ট্রামে চড়তে হয়। গরমে কোল্ড ড্রিঙ্কস, আইসক্রিম খাওয়া ছাড়তে হয়। অফিসে এসি ঘরে বসে আরামে কাজের অভ্যাস ছাড়তে হয় বড়দের। বড় হ্যাপা, বড় ঝামেলা সে সবে। তার চেয়ে টুকটাক গন্ডগোল যা হচ্ছে, তা হোক। আমেরিকা বরফে জমে গেলে, কানাডা ঝড়ে উড়ে গেলে, ব্রিটেন বন্যায় ভেসে গেলে আমাদের কী এসে যায়?
তাই কি? এই যে গত বছর বারবার ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছিল বঙ্গোপসাগরে, এবারের শীতে কোত্থেকে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা না কী যেন এসে আমাদের দক্ষিণবঙ্গের শীত বারবার কেড়ে নিচ্ছিল আর উত্তরবঙ্গে বারবার তুষারপাত ঘটাচ্ছিল, সমস্যা হচ্ছে এসবের কারণও যে সেই একই, যে কারণে বরফে জমে যাচ্ছে আমেরিকা, বন্যায় ভেসে যাচ্ছে ব্রিটেন, সেই একই কারণে যে আমাদের রাজ্যেও নানান গন্ডগোল, সেটাই কেউ বুঝছে না। কারণটির নাম বিশ্ব উষ্ণায়ন, গ্লোবাল ওয়ার্মিং।
নাম শুনে কী ভাবছ, পৃথিবীর গরম হয়ে ওঠার নামই বিশ্ব উষ্ণায়ন? ভুল কিছু নয়। তবে কিনা, যদি ভাবো বিশ্ব উষ্ণায়ন মানে কেবল পৃথিবীর গরম হয়ে ওঠা, তাহলে সেটা হবে ভুল ভাবনা। অস্ট্রেলিয়ায় রেকর্ড গরম পড়া বা আর্জেন্টিনায় তাপপ্রবাহের কারণও যেমন বিশ্ব উষ্ণায়ন, তেমনই উত্তরাখণ্ডের সেই ভয়ংকর বন্যা কিংবা নিউইয়র্ক শহরে তুষারপাতের কারণও বিশ্ব উষ্ণায়ন, এটা হয়তো সবার পক্ষে বিশ্বাস করে ওঠা কঠিন।
কিন্তু এটা তো আর সাধারণ মানুষের বিশ্বাস অবিশ্বাসের ব্যাপার নয়। এর পিছনে আছে বিজ্ঞান। আর সেই বিজ্ঞান বলছে বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে শুধু যে গরম বাড়বে, সেটা ভাবা ভুল। যেটা হবে, সেটা হচ্ছে বিশ্ব আবহাওয়া চরম খামখেয়ালি হয়ে উঠবে। শীতকালে প্রবল বৃষ্টিপাতে বন্যা হয়ে যাবে। গরমকালে কোনও এলাকা তাপপ্রবাহে ঝলসে যাবে, তো কোথাও আবার আবহাওয়া ঠান্ডা থাকবে। আর আবহাওয়া খামখেয়ালি হয়ে উঠলে তার প্রভাবে কী কী হবে, তারও একটা লম্বা তালিকা বিজ্ঞানীরা আমাদের হাতে ধরিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু আমরা সে কথা বিশ্বাস করিনি। অথবা বিশ্বাস করলেও বিশেষ পাত্তা দিইনি। তাতে বিজ্ঞান অথবা বিজ্ঞানীদের বিশেষ ক্ষতি হয়নি। ক্ষতি হয়েছে আমাদের। সারা পৃথিবী জুড়েই যে বিশ্ব উষ্ণায়নের ফল ফলতে শুরু করেছে, তা তো দেখতেই পাওয়া যাচ্ছে। আর দেখতে পাওয়া যাচ্ছে মানে, বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে আর যা যা ঘটতে চলেছে বলে বিজ্ঞানীদের আশংকা, সেগুলোও এবার ঘটবে।
মানুষের স্বভাবই এই, যতক্ষণ না বিপদ একটা ঘটছে, ততক্ষণ সে সচেতন হয় না। বিপদের সতর্কতা জারি করলেও চট করে সতর্ক হয় না। আর এই স্বভাবের কারণেই এতদিন বিশ্ব উষ্ণায়নের বিপদকে উপেক্ষা করে আসার পর এবার টনক নড়তে শুরু করেছে। জরুরি প্রশ্ন উঠছে, কী করা যায় এখন? কিন্তু কী করা যায় জানতে হলে আগে জানতে হবে, কেন ঘটছে উষ্ণায়ন?
কেন ঘটছে উষ্ণায়ন?
যারা ঠান্ডার দেশে বেড়াতে গেছে বা যাদের ঠান্ডার দেশেই বাস, তারা এমন ঘর দেখে থাকবে। একটা ওল্টানো কাচের বাটি যেমন হয়। তবে কিনা আকারে বিশাল। তার একদিকে থাকে একটা দরজা। এই ঘরের বাসিন্দা সাধারণত দুর্লভ, দামি সব অর্কিড। ঘরের নাম সবুজঘর, গ্রিনহাউস।
কেন এমন ব্যবস্থা? প্রচণ্ড ঠান্ডায় যেন কুঁকড়ে মরে না যায় গাছগুলি। এই ঘরে সূর্যের উত্তাপ ঢোকে, কিন্তু বেরোতে পারে না। ফলে রাত্রিবেলা যখন চরাচর জুড়ে হাড় কাঁপানো হিম নেমে আসে, গাছগুলি দিব্যি এক উষ্ণ ওমের মধ্যে বাস করে। এই ঘটনার পিছনে আছে বিজ্ঞানের সেই নিয়ম, যে নিয়মে পৃথিবী আজ ক্রমশ উষ্ণ থেকে উষ্ণতর হয়ে উঠছে।
সূর্য থেকে নানা রকম রশ্মি প্রতিনিয়ত পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে। এদের মধ্যে একটি হল অবলোহিত রশ্মি। এই অবলোহিত রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশ কম। ফলে সূর্য থেকে যখন বেরিয়ে আসে, তখন তা দিব্যি কাচের মধ্যে দিয়ে কাচ ঘরটিতে ঢুকে পড়ে। কিন্তু অবলোহিত রশ্মির ধর্ম এই যে, যখন তা পৃথিবীপৃষ্ঠে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে যায় তখন তার তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেড়ে যায়। ফলে ঘটনাটা ঘটে অনেকটা অভিমন্যুর চক্রব্যূহে ঢোকার মতো। ঢোকার সময় ঢোকে, কিন্তু বেরোবার সময় বেরোতে পারে না। ফলে কাচের ঘরে বন্দী রশ্মি ভেতরের আবহাওয়াটাকে গরম করে তোলে। কারণ, অবলোহিত রশ্মির ধর্মই এই যে, যে বস্তুর উপর তা পড়ে, তাকেই গরম করে তোলে।
তবে অবলোহিত রশ্মি সবুজঘরকে দিনের বেলায় উত্তপ্ত করে তুললেও রাতের বেলায় ঘরটা গরম থাকে অন্য কারণে। কিছু গ্যাসের কেরামতিতে। এই গ্যাসগুলিকে বলে গ্রিনহাউস গ্যাস বা সবুজঘর গ্যাস। আমাদের অত্যন্ত পরিচিত একটি সবুজঘর গ্যাস হল কার্বন ডাই অক্সাইড। এই গ্রিনহাউস গ্যাসগুলি বায়ুমণ্ডলে উত্তাপ ধরে রাখে। অর্থাৎ বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ যত বাড়বে, বায়ুমণ্ডল একবার গরম হবার পর ঠান্ডা হতে ততই দেরি করবে। এবার রাত্রিবেলা সবুজ ঘরের পরিবেশটি কল্পনা করা যেতে পারে। গাছগুলি সালোকসংশ্লেষ বন্ধ করে কেবল মাত্র শ্বাসকার্য চালাচ্ছে। ঘরের ভেতর তাই কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে গেছে। ফলে দিব্যি গরম থেকে যাচ্ছে ভেতরটা।
যে ঘটনাটা সবুজঘরের মধ্যে ঘটে, সেটাই এখন ঘটছে সারা পৃথিবী জুড়ে। সূর্য থেকে উত্তাপ এসে পৃথিবীপৃষ্ঠকে গরম করে তুলছে আর সেই গরম বেরোতে পারছে না বায়ুমণ্ডলে অত্যধিক পরিমাণে জমা হওয়া গ্রিনহাউস গ্যাসগুলির জন্য। কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন, ক্লোরোফ্লুরোকার্বন, জলীয় বাষ্প — গ্রিনহাউস গ্যাস বেশ কয়েকটি আছে। তবে হিসেব বলছে, পৃথিবীর উত্তাপ বাড়ানোয় কার্বন ডাই অক্সাইডের অবদান প্রায় অর্ধেক, ৪৯ শতাংশ।
তাহলে উপায়?
উপায় তো আছেই। এত কিছু ঘটছে, সে সব তো মানুষেরই কৃতকর্মের ফল। সুতরাং ওই অকাজ-কুকাজ বন্ধ করতে পারলেই উপায় একটা বেরোয়। তবে সেই সঙ্গে এও মনে রাখা দরকার, অনেক দেরি হয়ে গেছে। যদি কিছু করতেই হয়, তাহলে সেটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করা দরকার।
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ অতিরিক্ত বেড়ে যাবার কারণেই যে পৃথিবী ক্রমশ গরম হয়ে উঠছে, সেটা তো বলাই হয়ে গেছে। তার মানে গরম কমানোর উপায়ও বলা হয়ে গেছে। এক, কার্বন ডাই অক্সাইড যাতে আর বেশি না জমে সেটা দেখতে হবে। দুই, জমা কার্বন ডাই অক্সাইডকে বায়ুমণ্ডল থেকে সরিয়ে দিতে হবে।
দুটো মাত্র কাজ। তবে কিনা শুনতে যতটা সহজ মনে হচ্ছে, বাস্তবে কাজটা তার থেকে অনেক বেশি শক্ত। শক্ত, কারণ কার্বন ডাই অক্সাইড বাতাসে অতিরিক্ত পরিমাণ মিলছে জীবাশ্ম জ্বালানির দহনের ফলে। আবার এই জীবাশ্ম জ্বালানির দহনের উপরেই দাঁড়িয়ে আছে বর্তমান সভ্যতা। একটু বুঝিয়ে বলা যাক।
জীবাশ্ম জ্বালানি বলতে তিনটি খনিজ পদার্থকে বোঝায়। কয়লা, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস। একসময় ভয়ংকর কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কবলে পড়ে অসংখ্য জীবদেহ মাটির তলায় চলে যায়। তারপর লক্ষ লক্ষ বছর ধরে মাটির তলার তাপে ও চাপে এরাই রূপান্তরিত হয় জ্বালানিতে। তাই এদের জীবাশ্ম জ্বালানি বলে। এই জ্বালানি পুড়িয়েই আমরা তৈরি করি বিদ্যুৎ। এই জ্বালানি পুড়িয়েই চলে আমাদের যাবতীয় যানবাহন। অর্থাৎ বর্তমান সভ্যতা তেল, কয়লা, গ্যাস নির্ভর সভ্যতা।
সংকটটা চিনতে এবার তো আর ভুল হবার কথা নয়। জীবাশ্ম জ্বালানিগুলি না পোড়ালে থমকে যাবে বর্তমান সভ্যতার চাকা। আর পোড়ালে, যত বেশি পোড়াবে তত বেশি ঝলসে যাবে গরমে। আর এই উভয়সংকটের কারণেই যে কাজগুলোকে সহজ বলে মনে হচ্ছিল, সেগুলো কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
তাহলে উপায়? উপায় এই, ব্যবস্থা করতে হবে বিকল্প জ্বালানির। বিকল্প বিদ্যুতের। পাশাপাশি যথাসম্ভব কমাতে হবে বিদ্যুতের অপচয়। বিদ্যুতের অপচয়ের ব্যাপারটা বুঝতে বিশেষ ছোটাছুটি করবার দরকার নেই। আলো জ্বলছে, পাখা চলছে, টিভি চলছে অথচ ঘরে কেউ নেই, এমন দৃশ্য উঁকি মারলে সব বাড়িতেই দেখতে পাওয়া যাবে। এগুলো তো কমানো যায়ই। ইদানীং একটা ঝোঁক তৈরি হয়েছে, সন্ধেবেলা ফ্লাড লাইটের আলোয় ফুটবল, ক্রিকেটের মতো খেলার আয়োজন করা। এসব ঝোঁক এমনিতে বন্ধ করা যাবে না। সরকার এগুলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারে। আবার আমাদের মতো বিশাল দেশে সর্বত্র একই সময়ে দিন-রাত্রি হয় না। যেমন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে দিন শুরু হয় অনেক আগে আর সন্ধেও নামে তাড়াতাড়ি। ঠিক উলটো ঘটনা ঘটে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকের রাজ্যগুলিতে। যদি এমন ব্যবস্থা করা যায় যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে স্কুল, কলেজ, অফিস কাছারিতে কাজ শুরু হবে তাড়াতাড়ি, শেষও হবে আগে। তাহলেও অনেকটা বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। এর কারণ সাধারণভাবে কাজের সময় দশটা থেকে পাঁচটা। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে শেষের দিকে সন্ধে নেমে আসে। ফলে কাজ চালাতে হয় আলো জ্বেলে। কাজের সময় এগিয়ে নিয়ে এলে অনেকটাই বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। ঠিক উলটোটা করতে হবে দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে।
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের অজস্র উপায় আছে। তবে কেবল বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করে কাজ হবে না। বিকল্প বিদ্যুতের ব্যবস্থাটা আগে করতে হবে। তাপবিদ্যুতের বেশ কয়েকটি বিকল্প আছে। জলবিদ্যুৎ, সৌরবিদ্যুৎ, পরমাণু বিদ্যুৎ প্রভৃতি। প্রতিটি বিদ্যুৎ উৎপাদনের সঙ্গেই অবশ্য জড়িয়ে আছে কিছু অসুবিধা। যেমন জলবিদ্যুৎ। জলবিদ্যুৎ তৈরি করলে এমনিতে পরিবেশের কোনও ক্ষতি হয় না, কিন্তু সমস্যা তৈরি করে জলবিদ্যুৎ তৈরি করার জন্য যে বড় বড় জলাধার তৈরি করা হয় সেগুলি। জলবিদ্যুৎ তৈরি করা যায় সেখানে, যেখানে অনেকটা উঁচু জায়গা থেকে বিপুল জলরাশি তীব্র গতিতে আছড়ে পড়ে। জলের সেই তীব্র গতির মুখে টারবাইন বসিয়ে দিলে টারবাইন ঘুরে বিদ্যুৎ তৈরি হয়। কিন্তু এমন জায়গা তো খুব কম আছে, যেখানে জল উঁচু থেকে নীচে পড়ে। তাই জলবিদ্যুৎ তৈরি করার জন্য কৃত্রিম জলাধার তৈরি করা হয়। আর তারপর সেখান থেকে জল নীচের দিকে ছাড়া হয়। বিপদ ডেকে আনে এই জলাধারগুলি। এক জায়গায় অনেকটা জল ধরে রাখার ফলে মাটির উপর চাপ পড়ে, সম্ভাবনা তৈরি হয় ভূমিকম্পের। আরেকটা বিপদও অনেক সময় ডেকে আনে জলাধারগুলি। বর্ষাকালে কখনও প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে জলাধারগুলি উপচে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি হলে বাড়তি জল ছেড়ে দেওয়া হয়। তখন অনেকটা জল একসঙ্গে ছেড়ে দেওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়।
আবার পরমাণু বিদ্যুতের একটা সুবিধা আছে। অল্প জ্বালানিতে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। কিন্তু তৈরি করার প্রক্রিয়াটি খুবই বিপজ্জনক। কোথাও সামান্য ভুল হয়ে গেলেই ভয়ংকর বিপদ। তেমনই সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন সবচেয়ে নির্ঝঞ্ঝাটের, খরচও যা একেবারে প্রথমে। তারপরে কোনও খরচ নেই। কিন্তু প্রাথমিক খরচটাই আবার বিপুল।
তবে সব কিছুরই সুবিধা-অসুবিধা থাকবে। কোনও একটির উপর নির্ভর না করে, যেখানে যেটার সুবিধা বেশি, সেটিকেই আঁকড়ে ধরতে হবে। বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে পৃথিবী তো আর নিছক গরম হচ্ছে না, ঝলসে যাচ্ছে। তাই এই ঝলসে যাবার হাত থেকে বাঁচতে ছোটখাটো সুবিধা-অসুবিধাকে উপেক্ষা করে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
প্রথম ছবিটি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের সাইট থেকে নেওয়া হয়েছে
Leave a Reply